গোঁজলা গুঁই :- কবিগানের আদিপর্বের গুরু হিসেবে বিখ্যাত। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত গোঁজলা গুঁই এরগানের মাধ্যমে কবিগানের সুচনার কথা বলেছেন। তিনি সে সময়ে পেশাদার দল গঠন করেন এবং বিভিন্ন সম্ভান্তশীল পরিবারে অর্থের বিনিময় তিনি গান করতেন। যেহেতু আদি পর্বে কবিয়ালরা মূলত নিন্ম বর্গীয় শ্রেণীরা মুক্ত ছিল এবং সেইসব মূল্যবান কাব্যসামগ্রী সংরক্ষণের কোন চেষ্টা ও উপযোগীতা উপলব্ধি করা হয়নি। ফলত সেই সমস্ত কাব্য ও কবিয়ালদের সম্বন্ধে তথ্যের পরিমান অতীব স্বল্প ও সীমাবদ্ধ।
রাম বসু :- দ্বিতীয় পর্বের অন্যতম করিয়াল। রামমোহন বসু অল্প বয়সেই কবিগান রচনা শুরু করেন তিনি ছিলেন আধুনিক জীবনধারার ছোঁয়া। মানবমুখী বাস্তবতা তাঁর গানের বৈশিষ্ট্য। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের 'তিন সঙ্গী' গ্রল্পগ্রন্থে হরি ঠাকুর ও রাম বসুর নামের উল্লেখ পাওয়া য়ায়। তাঁর একটি বিখ্যাত গান হল -
অ্যান্টিনি ফিরিঙ্গী :- প্রথম ইউরোপীয় বাংলা ভাষার কবিয়াল। তৃতীয় পর্বের কবিয়ালদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন পর্তুগিজ, উনবিংশ শতকে বাংলাতে চলে আসেন প্রথমে যে পশ্চিমবঙ্গের ফরাসডাঙ্গা নামক এলাকার বসতি স্থাপন করেন। লোককবিদের মুখ থেকে কবিগান শুনে তিনি প্রবল অনুপ্রাণিত হয় এবং গান বাঁধতে শুরু করেন। তিনি জাতি, ধর্ম, বর্নের উর্ধ্বে গিয়ে তার গানের মাধ্যমে মানুষ ও মানবতার সুর ফুটে ওঠে। তার অন্যতম জনপ্রিয় গানটি হল -'সাধনভজন জানিনে না, জেতে তো ফিরিঙ্গি। 'তিনি এক ব্রাহ্মণ হিন্দু মহিলাকে সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে উদ্ধার করে, পরে তাকে বিবাহ করেন। তাঁর গান গুলির মধ্যে গ্রামবাংলার চিরাচরিত কুসংস্কার গুলির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন। মানুষকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে দেওয়ার রসদ ছিল তাঁর গানগুলির মধ্যে। তার অন্যতম প্রতিপক্ষ ছিল ভোলা ময়রা। তিনি দক্ষিণ কোলকাতা একটি কালি মন্দির স্থাপন করেন তা ফিরিঙ্গী কালিবাড়ি নামে খ্যাত। অ্যান্টিনি ফিরিঙ্গীকে নিয়ে বিখ্যাত দুটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মিত 'অ্যান্টিনি ফিরিঙ্গি' ও 'জাতিস্মর'।
রাম বসু :- দ্বিতীয় পর্বের অন্যতম করিয়াল। রামমোহন বসু অল্প বয়সেই কবিগান রচনা শুরু করেন তিনি ছিলেন আধুনিক জীবনধারার ছোঁয়া। মানবমুখী বাস্তবতা তাঁর গানের বৈশিষ্ট্য। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের 'তিন সঙ্গী' গ্রল্পগ্রন্থে হরি ঠাকুর ও রাম বসুর নামের উল্লেখ পাওয়া য়ায়। তাঁর একটি বিখ্যাত গান হল -
মনে রৈল সই মনের বেদনা।
প্রবাস যখন য়ায়গো সে,
তারে বলি, বলি বলা হলনা।
শরমে শরমে কথা কওয়া গেলনা।
যদি নারী হয়ে সাধিতাম তাকে নিলজ্জা রমনী বলে হাসিত লোকে।
সখি, ধিক্ থাক আমারে, ধিক সে বিধা তারে, নারী জনম যেন করে না।
![]() |
| উৎস -বাংলা সিনেমা যাতিস্বর(এন্টোনি ফিরিঙ্গীর চরিত্রে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী ওয়েবসাইট -www.news24.com |

No comments:
Post a Comment