কবিগান পল্লী অঞ্চলের বিনোদনের যেমন মাধ্যম তেমনি শিক্ষা বিস্তারেরও মাধ্যম। বর্তমান সময় সরকার কবিগানকে শ্রেষ্ঠ মিডিয়া বলেছেন। সরকারী পরিকল্পনা রুপায়নে কবিগানকে গনমাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এই ইলেট্রনিক যুগেও তা অব্যাহত। আমাদের এই দুর্ভাগা দেশের পল্লী অঞ্চলের দুর্গম প্রান্তের প্রায় নিরক্ষর মানুষের কাছে নীতিশিক্ষা,সমাজশিক্ষা,প্রভৃতির আলোকবর্তিতা বয়ে নিয়ে যেতেন এই সকল কবি সরকারেরা। নীতি-শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ গঠনে তারা সহায়ক হয়েছেন। মানব মনের যে অনন্ত জিজ্ঞাসা যেমন ধর্মজিজ্ঞাসা,আত্মজিজ্ঞাসা সন্ধানের প্রচেষ্টা করা হয়েছে কবিগানে। এই ধর্ম আলোচনায় দুটি পৃথক দৃষ্টিকোণের অবস্থান থাকতে দেখা য়ায়। একজন কবি কঠিন বাস্তবকে তুলে ধরে মানবীয় কামনা বাসনা প্রভৃতির আলোকে ধর্মীয় ব্যাখ্যা তুলে ধরে থাকেন। অপর কবি ধর্মের অন্তরদর্শন ব্যাখ্যা করতে থাকেন। বলা চলে বস্তুগত যুক্তিবাদ বনাম ভাববাদ, আত্মবাদ, আধ্যাত্মবাদের সংঘর্ষ হয়। তবুও কবিগানে শুধুমাত্র ধর্মীয় সংগীত নয় এরমধ্যে জড়িয়ে রয়েছে ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি।
কবিগানের উপকারিতা অনুধাবন করতে গিয়ে উপলব্ধি করা য়ায় যে পরিমানের উন্নয়ন পুর্ববঙ্গের কবিগানের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্য করা য়ায় তা পশ্চিমবঙ্গের কবিগানে লক্ষ্য করা য়ায় না, এখানে কবিগানকে মূলত মধ্যকোলকাতার বিলাসী বাবু কালচারের মনোরঞ্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
কবিগান সম্বন্ধে সমালোচনা করতে গেলে দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। প্রথমত বর্তমানের নিরিখে এর মূল্যায়ন করলে তা যথার্থ হবে যা মোটেই কাম্য নয়। একে দেখতে হবে বাংলা সাহিত্য ইতিহাসের একটি বিশাল ইমারতের ইট হিসেবে।দ্বিতীয়ত,চাই নিরাসক্ত দৃষ্টি। এখানে প্রাদেশিকতা ও জাতিতত্ত্ব বিসর্জন দিতে হবে। এ না হলে সমালোচনা হবে পক্ষপাত দোষ দুষ্ট। একাধিক ক্ষেত্রে যা দেখা গিয়েছে। অতএব নিরাসক্ত সমালোচনা একান্ত কাম্য।
কবিগানের উপকারিতা অনুধাবন করতে গিয়ে উপলব্ধি করা য়ায় যে পরিমানের উন্নয়ন পুর্ববঙ্গের কবিগানের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্য করা য়ায় তা পশ্চিমবঙ্গের কবিগানে লক্ষ্য করা য়ায় না, এখানে কবিগানকে মূলত মধ্যকোলকাতার বিলাসী বাবু কালচারের মনোরঞ্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
কবিগান সম্বন্ধে সমালোচনা করতে গেলে দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। প্রথমত বর্তমানের নিরিখে এর মূল্যায়ন করলে তা যথার্থ হবে যা মোটেই কাম্য নয়। একে দেখতে হবে বাংলা সাহিত্য ইতিহাসের একটি বিশাল ইমারতের ইট হিসেবে।দ্বিতীয়ত,চাই নিরাসক্ত দৃষ্টি। এখানে প্রাদেশিকতা ও জাতিতত্ত্ব বিসর্জন দিতে হবে। এ না হলে সমালোচনা হবে পক্ষপাত দোষ দুষ্ট। একাধিক ক্ষেত্রে যা দেখা গিয়েছে। অতএব নিরাসক্ত সমালোচনা একান্ত কাম্য।

